ঈদুল আজহার নামাজের সময় ও প্রস্তুতি
ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর যখন সূর্য প্রায় তালাওয়িউটতু ফজর থেকে এক হাতে পড়ে, তখনই প্রথম দুই রাকাআহের সেই নামাজ আদায় চালু হয়। নামাজের আগে ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম মেনে শুদ্ধ কাবা শরিফ বা খোলা মাঠে বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা অবলম্বন করতে হয়।
ইমাম-অনুগামী: দুই রাকাআহের ফজিলত
- প্রথম রাকাআহের সূরা আল-ক্বদর ও সূরা আল-আশর পাঠ করা সুন্নাহ
- দ্বিতীয় রাকাআহে সূরা আল-লাহাব ও সূরা আল-আমানি পাঠ
- প্রতিটি রাকাআহে দুটি দুটি তাসবীহ, তাহমীদ ও তাকবীর
নামাজের প্রধান ধাপসমূহ
- নইয়াভ: “নিবোললামু-নামাযাতাই ঈদিল-আযহা রাকআতাইন্না বালগতা মিন-আল্লাহি তায়্যিবাহা” মন থেকে উচ্চারণ করুন।
- তাকবীরাতুল ইহরাম: “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজ শুরু করুন।
- তাসমিহ: সুবহানাকা।” ৩ বার পড়ুন।
- সূরা ফাতিহা ও পছন্দের সূরা: প্রথম রাকাআহে সূরা ফাতিহা’র পর সূরা আল-ক্বদর।
- তাকবীর: সূরা শেষে ৭ বার “আল্লাহু আকবর” বলুন এবং হাতে তাকবীরের অবস্থান পরিবর্তন করুন।
- রুকু ও সেজদা: স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করুন।
‘ই’ দেখিয়ে উত্তstehättning
প্রতি তাকবীরে মাথা নেড়ে ইঙ্গিত করুন যাতে জমায়েতের সবাই সমন্বিত থাকে, এটি ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম অনুযায়ী সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত।
নামাজের পর দো‘আ
নামাজ শেষে যেহেতু দু‘আ পাওয়ার ময়দা সৃষ্টি হয়, তাই এই সময় “তাকবীরাত” ও “দো‘আ” পড়তে পারেন। সুপারিশ করা হয়:
“আল্লাহুম্মা আট‘ইনা ফি দুনিয়া হাসানাহ্ ওয়া ফি আখেরাতি হাসানাহ্ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার।”
সামাজিক অনুষঙ্গ
নামাজের উপরে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোরবানী—যা ঈদুল আজহার মূল ইবাদত। নামাজ শেষে ঘনিষ্ঠজনের সাথে ঈদের বান্দা বিনিময় করে, দারিদ্র্যের মাঝে দাঁড়ানো পরিবারকে খাদ্য ও শরিকানা পাঠানো সুন্নাহ।
পরিশেষ
এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম—নামাজের সময়, তাকবীর, দো‘আ ও সামাজিক দিকগুলো। সুন্নাহ ও শারীয়াহ বিবেচনায় রেখে নামাজ আদায় করলে ঈদের পুণ্য倍িততা ও আনন্দ আরও বৃদ্ধি পাবে। ঈদ মোবারক!