ইনফো: এই নিবন্ধে ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ও সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে প্রত্যেক মুসলমান যথাযথভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন।
প্রতি বছর যেদিন মুসলিম উম্মাহ কুরবানির বছরে সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে উদযাপন করে, সেই দিন প্রভাতবেলায় মুসল্লিরা মসজিদে বা ঈদগাহে জমায়েত হন। আচরণগত ও বিধিগত কারণে ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম জানা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ১০০ শব্দের মধ্যে জানিয়ে দিই: ঈদুল আজহার বিশেষ দুই রাকাত নামাজে কুওঁয়া, ছয় তাকবীর, খুৎস ও দোয়ার নিয়ম মেনে পাঠ করতে হয়, যা নামাজের পূর্ব ও পরবর্তী অংশে যথাযথ আমল নিশ্চিত করে।
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম: সময় ও জামাত
ঈদের নামাজ সূর্য ডানদিকে ৩ হাত উচ্চে উঠে বা প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আদায় করা হয়। প্রথমে ইমাম মাইক্রোফোনে “আল্লাহ আকবার” তিনবার উচ্চ স্বরে বলবেন, এরপর দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাতে মুদ্রাস্হত হয়ে ছয়টি তাকবীর আদায় করতে হবে। এখানে ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম মেনে নামাজের সূচনা শুরু হয়।
টিপ: তাকবীর বলার সময় হাত কান পর্যন্ত তুলুন, যেন ভক্তিমূলক পবিত্রতা বজায় থাকে।
তাকবীর সংখ্যা ও খুৎসের আদায়
নির্দিষ্ট ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম অনুযায়ী—প্রথম রাকাতে মোট ছয়টি তাকবীর অন্তর্ভুক্ত, যেখানে প্রথম তাকবীর ইমামের আহ্বানে, পরবর্তী পাঁচটি নীরবভাবে উচ্চারিত হয়। তারপর সূরা ফাতিহা ও কোনো একটি সূরা পাঠ করুন। রাকাত শেষ করে রুকু, সুজুদ ও তাশাহুদ সম্পন্ন করুন, এরপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাতেও আবার ছয় তাকবীর সম্পন্ন করুন।
সাফল্যের সূত্র: প্রতিবার নামাজের আগে ছোটখাটো “খুৎস” (করবনীর উদ্দেশ্যে দোয়া) পাঠ করুন—এতে নামাজের অর্থ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।
ঈদের বিশেষ দোয়া এবং খুৎস
ঈদের নামাজের আগে বা পরে ইমাম “খুৎস” হিসেবে বিশেষ দোয়া পাঠ করেন, যা মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় আবৃত্তি হয়। ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম অনুযায়ী, নামাজের পর ইমাম জনতার উদ্দেশ্যে তওফীক ও বরকতের দোয়া পড়তে পারেন।
নামাজ শেষে মুবারকগণ
নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে “ঈদের মুবারক” বলে আদবের পাশাপাশি দু’চারটা বাক্য দোয়া জানাতে পারেন। এ সময় ছোটদের উপহারের ব্যবস্থা, প্রয়োজনে কুরবানির গোশত ভাগাভাগি এবং ফিতরা প্রদানের মতো সামাজিক দায়িত্ব পালন করা হয়।
সংক্ষেপে ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম
- সকাল বেলার সূর্য উঠার প্রায় ১৫–২০ মিনিট পর নামাজ শুরু করুন।
- প্রত্যেক রাকাতে ছয়টি তাকবীর বলুন (প্রথম ইমাম আহ্বানে, পরবর্তী পাঁচটি নীরবে)।
- দুই রাকাতে ফাতা ও অন্য কোনো সূরা পাঠ করুন।
- নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া (খুৎস) এবং “ঈদের মুবারক” আদান-প্রদান করুন।
উপসংহার
প্রতিবার ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম মেনে নামাজ আদায় করলে ইসলামের বিধি-বিধানের যথাযথ পালন নিশ্চিত হয়, পাশাপাশি মনের অনুপ্রেরণা ও সম্প্রদায়ের ঐক্য বজায় থাকে। ঈদুল আজহার সেই আনন্দময় মুহূর্তে সবার জন্য দোয়া করুন, খুশি ভাগ করে নিন এবং পবিত্রতা মেনে চলুন—ঈদের খুশি আল্লাহর সঙ্গেই প্রচুর বরকত বয়ে আনে।